মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
এখন কবি আল মাহমুদের সময় দৈনিক ঐশী বাংলা’র জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন ১৭ জানুয়ারি-‘২৬ ঢাকার বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিদিতা ইসলাম শ্রেয়া পুরস্কৃত কন্ঠের মুগ্ধতায় ও উপস্থাপনার নান্দনিকতায় আলোচিত এক নাম মাসুদ রানা বিশ্ববাঙালি সংসদ বাংলাদেশএর অভিষেক অনুষ্ঠিত বিশ্ববাঙালি সংসদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ২৭ সেপ্টেম্বর কসবায় চকচন্দ্রপুর ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় হিফজুল কোরআন বিভাগের ৪ ছাত্রের শেষ ছবক প্রদান শিল্প সাহিত্য সংযোগের উদ্যোগে “বিজ্ঞান যুগের সাহিত্যচর্চা” বিষয়ক আলোচনা ও কবিতা পাঠ ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েন্স এওয়ার্ডে ভূষিত বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন আর নেই
তাণ্ডবকারীদের বিচার দাবি করে হেফাজত নেতা কাসেমীর পদত্যাগ

তাণ্ডবকারীদের বিচার দাবি করে হেফাজত নেতা কাসেমীর পদত্যাগ

বাহাদুর আলম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির নেতা মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমি। তিনি হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। হেফাজত তাণ্ডব ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠান আব্দুর রহিম কাসেমী।

লিখিত বক্তব্যে কাসেমি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারেনা। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিস্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমস্ত মাদরাসাসমূহের শিক্ষক ও ছাত্রদের এ সমস্ত দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি’।

তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি করা এবং হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাতে আমি এবং আমার মাদরাসার কোনো ছাত্র অংশগ্রহণ করেনি। আমি হেফাজতে ইসলামের চলমান কোনো কার্যক্রমের সাথে জড়িত নই। তাদের সকল প্রকার নাশকতামূলক কার্যক্রমকে শরীয়তসম্মতভাবে অবৈধ মনে করি’।

তিনি আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাতে ইসলামের সকল কার্যক্রম ও জাতীয় এবং জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি’।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, খঁাটিহাতা হাইওয়ে থানা, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পৌরসভা কার্যালয়, পৌরমিলনায়তন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ সব ঘটনায় ৫৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজহারনামী আসামির সংখ্যা ৪১৪ জন, আর অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। এ সব মামলায় আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ৩৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ছে পুলিশ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD